Something about ongoing CHT issues

কদিন ধরে যারা সাবে আদিবাসী ই্যসু নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে প্রায় অনেকেই রিয়েলিটি থেকে আউট অব টাচ দেশের কিছু‌ই জানে না মনে করে আদিবাসীদের কোনো রাইট‌ই নাই, আমার বাড়ি থেকে ৩০ টাকা ভাড়া দিলে হিল ট্রাকে যাওয়া যায় আমার নিজের দেখা কিছু বিষয় যা হয়তো আপনারা জানেন না তা লিখছি। ১) আদিবাসী বা উপজাতি যাই বলেন প্রায় প্রতি গ্রাম/ পাড়ায় ওদের মিলিশিয়া বা গ্যাং আছে। ওরাই ঐখানের রাজা। যেকোনো কাজে ওদের ফি দিতে হয়। যেখানে গ্যাং নেই সেখানে গোত্র চিফ থাকে যাদের পাওয়ার মেম্বার বা চেয়ারম্যানের সমান। ২)পাহাড়িরা বিজনেসে বাঙালির থেকে বেশি সুবিধা পায়। (টাকা‌ওয়ালারা) ৩) মিলিশিয়াদের নিজেদের মধ্যে ক্লাশ হয় ভাগাভাগি নিয়ে, ঐখানের ক্যাজুয়ালিটি কেউ গোনায় ধরে না। ৪)অনেক পরিবার‌ই মাদক ব্যাবসা ও চোরাচালানের সাথে জড়িত। ৫)যারা মোটামুটি শিক্ষিত তারা সবাই শহরের দিকে থাকে পাহাড়ে না।

বাংলাদেশ সবার সমান অধিকার। আমাদের পাশের এলাকায় আমি বাঙালি পাহাড়ি বৈষম্য দেখি নি সবাই সমান। তবে যেখানে বৈষম্য আছে আমরাও চাই আমার সব ভাই বোন আছে সবাই সমান অধিকার পাক কিন্তু যখন সেলফ গভারনিং রাইট চায় তখন ভাই আমি নাই। পলিটিক্যালি দল করে ভোট করে সিট নিক সাংবিধানিক ভাবে। এছাড়া যে আন্দোলন হচ্ছে তাতে যাই হোক সুবিধা ভোগ করবে শহর উপশহর আর পৌরসভার লোকজন কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা আছে তারা বরাবরের মতোই অবহেলিত থাকবে।

তবে আমার মতে ঘটনা যেভাবে আগাচ্ছে আর ফেসবুক ঘাটলে দেখবেন পাহাড়ি চেংরা পোলাপাইন আগুনে ঘি ঢালছে বাঙালিদের গালি ছাড়া কথাই বলে না, আর একট্রিমিস্টরা তো তাদের স্বাধীনতা আসবে এ টাইপের পোস্ট দিচ্ছে যা বাঙালিদের আরো উস্কে দিচ্ছে। আমি যদি পার্সোনালি পাহাড়িদের সাথে উঠাবসা না করতাম তাহলে এসব উগ্রবাদী পোস্ট দেখে আমিও রাস্তায় পাহাড়ি দেখলে মারতে আসতাম। লিখে রাখেন দাঙ্গা বাধবে শিউর।

দিনশেষে আমার বাসার সামনে হোটেল‌ওয়ালা মামা মারমা, তারে জিগ্গেস করছিলাম এ ইস্যু নিয়ে কিছু বলতে সে একটা কথা বলেছিলো " বাপে পায়না পান্তা ভাত, পোলায় খুজে দুধ ভাত"